ইয়র্কশায়ারের বর্ণবাদ বিতর্ক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন জোফ্রা আর্চার
রফিকের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর পদক্ষেপকে সাহসী বললেন তিনি
আপডেট করা - Nov 10, 2021 7:14 pm
ইয়র্কশায়ারের আজিম রফিকের সাথে জড়িত বর্ণবাদের বিতর্ক নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি পেসার জোফ্রা আর্চার। বর্ণবাদের এই বিতর্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচুর জলঘোলা হচ্ছে। এই বিতর্কের রেশ শুধুমাত্র ইয়র্কশায়ার কাউন্টি দল ও সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার আজিম রফিকেই সীমাবদ্ধ নেই। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এই বিতর্কে হস্তক্ষেপ করে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
এরই মধ্যে আর্চার তাঁর মন্তব্য করলেন। আর্চার রফিকের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে নিয়েও স্বীকার করেছেন যে তিনি নিজে ইংলিশ ক্রিকেট মহলের কারওর কাছ থেকে কখনওই কোনরকম বৈষম্যমূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক আচরণের সম্মুখীন হননি।
২০২০ সালে রফিক তাঁর বিরুদ্ধে জাতিগত বৈষম্যের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার জন্য ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবকে অভিযুক্ত করেছিলেন। ৩০ বছর বয়সী বলেছিলেন যে ওই অভিজ্ঞতাগুলি তাকে আত্মহত্যা করার কথা ভাবিয়েছে কারণ তাঁর অভিযোগ কোচ এবং কর্মকর্তারা উপেক্ষা করেছিলেন।
ইংলিশ ক্রিকেটে কখনো বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা পাইনি – জোফ্রা আর্চার
ডেইলি মেইলের জন্য তাঁর কলামে জোফ্রা আর্চার লিখেছেন যে নিউজিল্যান্ডে একটি ঘটনা ছাড়া তাঁকে কখনো জাতিগতভাবে অপমান করা হয়নি। রফিককে সাহসী আখ্যা দিয়ে এবং তার উপর করা আচরণকে অগ্রহণযোগ্য মনে করেছেন তিনি।
জোফ্রা আর্চার লিখেছেন, “আমি ইংলিশ ক্রিকেটে কখনো বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা পাইনি। হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ড সফরে আমি জাতিগত নিগ্রহের শিকার হয়েছিলাম কিন্তু এর আগে বা তারপর থেকে আমি তেমন কিছুই ভোগ করিনি। আমি জানি না আজিম রফিক কীসের মধ্য দিয়ে গেছে। তবে তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন এবং এখন যেভাবে বলে চলছেন তা বিবেচনা করে বলতেই হয় যে এসব বলার জন্য যথেষ্ট সাহস লাগে। তাঁকে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।”
২০১৯-এর নভেম্বরে কেরিয়ারে প্রথমবার বিদেশে টেস্ট খেলতে গিয়ে আর্চার নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ের বে ওভালে একজন দর্শকের কাছ থেকে জাতিগত নিগ্রহের শিকার হন। তদন্তের সময় ২৬ বছর বয়সী আর্চার অপরাধী ব্যক্তিটির কাছ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটি সরাসরি বার্তাও পেয়েছিলেন।
সত্য প্রমাণিত হওয়া আজিম রফিকের অভিযো ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। করাচিতে জন্মগ্রহণকারী এই ক্রিকেটার একটি তদন্তের প্রতিবেদনে গ্যারি ব্যালেন্স এবং মাইকেল ভনের নাম দিয়েছিলেন যাঁরা তার বিরুদ্ধে জাতিগতভাবে অপব্যবহার করেছিলেন।
যদিও ভন দৃঢ়ভাবে এই দাবি অস্বীকার করেছেন। বর্ণবাদ বিতর্কের ফলে ইসিবি ইয়র্কশায়ারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক খেলার আয়োজন করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে।
এছাড়া পূর্বতন চেয়ারম্যান রজার হাটন পদত্যাগ করেছেন এবং কোচ অ্যান্ড্রু গেলও অতীতের একটি টুইটের কারণে সাসপেনশনের মুখোমুখি হয়েছেন। নতুন চেয়ারম্যান লর্ড কমলেশ প্যাটেল ক্ষমা চেয়েছেন এবং ব্যাপক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।